তুমি সুন্দর নিয়তি
নিঃসঙ্গ দাঁড়ের শব্দে চলে যায় তিনটি তরণী |
শিরিষের রাজ্য ছিল কূলে কূলে অপ্রতিহত
যেদিন অস্ফুট শব্দে তারা যাবে দূর লোকালয়ে
তখন অদেখা ঋতু বলে দেবে এই সংসারদুঃখ বয় কৃষকের | যদিও সফলপ্রতিটি মানুষ জানে তন্দ্রাহীনতায়কেন বা এসেছো সব নিষ্ফলতা, কবিতা তুমিও,নাহয় দীর্ঘ দিন কেটেছিল তোমার অপ্রেমে---
তবুও ফোটে না ফুল | বুঝি সূর্যযথেষ্ট উজ্জ্বল নয় | বুঝি চিরজাগরূকআকাশশিখরে আমি ধাতুফলকের শব্দ শুনে----সূর্যের ঘড়ির দিকে নিষ্পলক চেয়ে আছিএখনি বিমুক্ত হবে মেঘে মেঘে বসন্ত-আলোরনির্ভার কৃপাকণা | সমস্তই ঝরেছিল --- ঝরে যাবে---যদি না আমারযদি না আমার মৃত্যু ফুটে থাকা অসংখ্য কাঁটায় |আসলে মৃত্যুও নয় প্রাকৃতিক, দৈব অনুরোধ |যাদের সঙ্কেতে আমি যথাযথ সব কাজ ফেলেযাবো দূর শূন্যপথে---- তারা কেমন বান্ধব বলোকোন্ ঘড়ি ? কোন্ সূর্যরথ ?হয়ত প্রকৃত ঐ নগ্ন জলধারা----যখন দুপুর কাঁপে গ্রীষ্মের নতুন সাবানে |ওদের দেবতা বলে আমি মানি | ওদের ঘড়িরসমস্ত খঞ্জনপাখা লক্ষবার শোনায় অস্ফুটে----আমার বন্ধু কি তুমি ?আমি কি তোমার ?কেন যে এখনো নই প্রাকৃতিক দুঃখজটাজাল ?আমার নিয়তি তুমি ঈর্যা করো---- আমার স্মরণেযাও দূর তীর্থপথে, ভুল পথে --- রক্তিম কাঁটায়নিজেকে বিক্ষত করো | রোমিও --- রোমিও ---কেন শূন্যে মেঘলীন কম্পিত চাদর উড়ে গেলে----অনির্বাণ, স্থির নাটকের যারা ছিল চারিত্রিক,নেপথ্যে কুশল, প্রেম চেয়েছিল, দুঃখ,তারা একে একে অম্লান ঝরে যায় ?তবে কি আমিও নই তেমন প্রেমিকা ?
বহুদিন ছুঁয়ে যায় বর্তুল, বিস্মৃত পৃথিবীলাটিম সূর্যের তাপে নানা দেশ—বিপুল শূন্যতা---সে যেন বিচিত্র আলো দিয়েছিল আমার ঘরেরগবাক্ষবিহীন কোনো অন্ধকারে--- একদিন ---শুধু একদিন |তখন, প্রবল মুহূর্তে আমি জেনেছি অনেক---সমুদ্র কেমন হয় | কাকে বলে দুর্নিরীক্ষ্য তরু |আমি কেন রুগ্ন হই | তুমি দূর স্খলিত তারারকেন বা সমাধি গড়ো বনে বনে |অথচ আঁধারে ফিরি আমি ক্লান্ত প্রদর্শক আলো,যারা আসে সহচর রক্ত-লাল, গমের সবুজ,তারা কেউ ধূর্ত নয়---দয়াশীল, বিনীত ভাষায়বলে, ‘তুমি ভুলে যাও সমস্ত জ্ঞানের ভার--- সমস্ত অক্ষর |’এখনি বৃষ্টির পর আমি পাবো জ্যোত্স্না-ভালোবাসা |কেননা মেনেছি আমি শোকাকুল তুমিও বন্দিনীঅজেয় শকটে তার | কোনো কোনো রথএকা যায় ভ্রান্ত পথে---- অন্ধকারে ---চালকবিহীন---যেখানে সুদীর্ঘ রাত ওড়ে নীল গন্ধের রুমালেযেখানে জলের মতো পরিসর, অফুরন্ত বায়ুধুয়ে দেয় বনস্থলী, বালুতট----দীর্ণ হাহাকারতুলেছিলে শূন্যতায় পাহাড়ের উর্বর মৃত্তিকা, তুমি দুঃখ, তুমি প্রেম,শোনেনি সতর্কবাণী | যেন স্রোত সহসা পাথরেরুদ্ধ হল | এবং স্খলিতবহু রথ, পদাতিক দেখে আমি মেনেছি এখনপ্রতিটি বৃষ্টির পর ছিন্ন হও তুমি, ভালোবাসা |
পৃথিবীর সব তরু প্রতিচ্ছায়া খুলে দেয় বসন্তের দিনে |যখনি তোমাকে ডাকে ‘এসো এসো বিদেহ কলুষ’,কেন যে লুন্ঠিত, নীল পরিধান খুলে তুমিবালিকার স্পষ্টতায় কাঁদো----বসন্তই জানে |তবুও আমার স্বপ্ন দুপুরের ----ঘুমন্ত রাতের ---প্রবল নদীর জলে ধরে রাখে নীল যবনিকা----সে তোমার পরিচ্ছদ, অন্তরাল, হয়ত বাযেটুকু রহস্য আমি ভালোবাসি বালিকা কিশোর শরীরে ---এখন বিনিদ্র রাতে পুড়ে যায় সব মোমবাতি !এবং অলেখা গান নিষ্ফলতা বয়েছিল কত দীর্ঘ দিনসে নয় প্রেমের দুঃখ ? তবু সতর্কতাভেঙে ফেলে সুন্দরের প্রিয় পুষ্পাধারবলেছিল, ‘এই প্রেম অন্তিমের, সমস্ত ফুলের’যেন দূর অদেখা বিদ্যুতে তুমি পুড়ে যাওতুমি সুন্দর নিয়তিযেন জল, ঝোড়ো রাতে জ্বলে একা বজ্রাহত তরুতুমি সুন্দর নিয়তিমৃতেরা নিষ্পাপ থাকে | কারো নামে অচ্ছোদসরসী---তুমি বিরূপ নিয়তিরাখো দূর মেঘপটে যত ক্রোধ, অকাম কামনাতুমি সুন্দর নিয়তিফিরে দাও দীর্ঘ ঝড় মদিরায় প্রাচীন কুঞ্জের. তুমি সুন্দর নিয়তি |আমি পাবো অনুপম, জনহীন, উর্বর মৃত্তিকা
শিরিষের রাজ্য ছিল কূলে কূলে অপ্রতিহত
যেদিন অস্ফুট শব্দে তারা যাবে দূর লোকালয়ে
তখন অদেখা ঋতু বলে দেবে এই সংসারদুঃখ বয় কৃষকের | যদিও সফলপ্রতিটি মানুষ জানে তন্দ্রাহীনতায়কেন বা এসেছো সব নিষ্ফলতা, কবিতা তুমিও,নাহয় দীর্ঘ দিন কেটেছিল তোমার অপ্রেমে---
তবুও ফোটে না ফুল | বুঝি সূর্যযথেষ্ট উজ্জ্বল নয় | বুঝি চিরজাগরূকআকাশশিখরে আমি ধাতুফলকের শব্দ শুনে----সূর্যের ঘড়ির দিকে নিষ্পলক চেয়ে আছিএখনি বিমুক্ত হবে মেঘে মেঘে বসন্ত-আলোরনির্ভার কৃপাকণা | সমস্তই ঝরেছিল --- ঝরে যাবে---যদি না আমারযদি না আমার মৃত্যু ফুটে থাকা অসংখ্য কাঁটায় |আসলে মৃত্যুও নয় প্রাকৃতিক, দৈব অনুরোধ |যাদের সঙ্কেতে আমি যথাযথ সব কাজ ফেলেযাবো দূর শূন্যপথে---- তারা কেমন বান্ধব বলোকোন্ ঘড়ি ? কোন্ সূর্যরথ ?হয়ত প্রকৃত ঐ নগ্ন জলধারা----যখন দুপুর কাঁপে গ্রীষ্মের নতুন সাবানে |ওদের দেবতা বলে আমি মানি | ওদের ঘড়িরসমস্ত খঞ্জনপাখা লক্ষবার শোনায় অস্ফুটে----আমার বন্ধু কি তুমি ?আমি কি তোমার ?কেন যে এখনো নই প্রাকৃতিক দুঃখজটাজাল ?আমার নিয়তি তুমি ঈর্যা করো---- আমার স্মরণেযাও দূর তীর্থপথে, ভুল পথে --- রক্তিম কাঁটায়নিজেকে বিক্ষত করো | রোমিও --- রোমিও ---কেন শূন্যে মেঘলীন কম্পিত চাদর উড়ে গেলে----অনির্বাণ, স্থির নাটকের যারা ছিল চারিত্রিক,নেপথ্যে কুশল, প্রেম চেয়েছিল, দুঃখ,তারা একে একে অম্লান ঝরে যায় ?তবে কি আমিও নই তেমন প্রেমিকা ?
বহুদিন ছুঁয়ে যায় বর্তুল, বিস্মৃত পৃথিবীলাটিম সূর্যের তাপে নানা দেশ—বিপুল শূন্যতা---সে যেন বিচিত্র আলো দিয়েছিল আমার ঘরেরগবাক্ষবিহীন কোনো অন্ধকারে--- একদিন ---শুধু একদিন |তখন, প্রবল মুহূর্তে আমি জেনেছি অনেক---সমুদ্র কেমন হয় | কাকে বলে দুর্নিরীক্ষ্য তরু |আমি কেন রুগ্ন হই | তুমি দূর স্খলিত তারারকেন বা সমাধি গড়ো বনে বনে |অথচ আঁধারে ফিরি আমি ক্লান্ত প্রদর্শক আলো,যারা আসে সহচর রক্ত-লাল, গমের সবুজ,তারা কেউ ধূর্ত নয়---দয়াশীল, বিনীত ভাষায়বলে, ‘তুমি ভুলে যাও সমস্ত জ্ঞানের ভার--- সমস্ত অক্ষর |’এখনি বৃষ্টির পর আমি পাবো জ্যোত্স্না-ভালোবাসা |কেননা মেনেছি আমি শোকাকুল তুমিও বন্দিনীঅজেয় শকটে তার | কোনো কোনো রথএকা যায় ভ্রান্ত পথে---- অন্ধকারে ---চালকবিহীন---যেখানে সুদীর্ঘ রাত ওড়ে নীল গন্ধের রুমালেযেখানে জলের মতো পরিসর, অফুরন্ত বায়ুধুয়ে দেয় বনস্থলী, বালুতট----দীর্ণ হাহাকারতুলেছিলে শূন্যতায় পাহাড়ের উর্বর মৃত্তিকা, তুমি দুঃখ, তুমি প্রেম,শোনেনি সতর্কবাণী | যেন স্রোত সহসা পাথরেরুদ্ধ হল | এবং স্খলিতবহু রথ, পদাতিক দেখে আমি মেনেছি এখনপ্রতিটি বৃষ্টির পর ছিন্ন হও তুমি, ভালোবাসা |
পৃথিবীর সব তরু প্রতিচ্ছায়া খুলে দেয় বসন্তের দিনে |যখনি তোমাকে ডাকে ‘এসো এসো বিদেহ কলুষ’,কেন যে লুন্ঠিত, নীল পরিধান খুলে তুমিবালিকার স্পষ্টতায় কাঁদো----বসন্তই জানে |তবুও আমার স্বপ্ন দুপুরের ----ঘুমন্ত রাতের ---প্রবল নদীর জলে ধরে রাখে নীল যবনিকা----সে তোমার পরিচ্ছদ, অন্তরাল, হয়ত বাযেটুকু রহস্য আমি ভালোবাসি বালিকা কিশোর শরীরে ---এখন বিনিদ্র রাতে পুড়ে যায় সব মোমবাতি !এবং অলেখা গান নিষ্ফলতা বয়েছিল কত দীর্ঘ দিনসে নয় প্রেমের দুঃখ ? তবু সতর্কতাভেঙে ফেলে সুন্দরের প্রিয় পুষ্পাধারবলেছিল, ‘এই প্রেম অন্তিমের, সমস্ত ফুলের’যেন দূর অদেখা বিদ্যুতে তুমি পুড়ে যাওতুমি সুন্দর নিয়তিযেন জল, ঝোড়ো রাতে জ্বলে একা বজ্রাহত তরুতুমি সুন্দর নিয়তিমৃতেরা নিষ্পাপ থাকে | কারো নামে অচ্ছোদসরসী---তুমি বিরূপ নিয়তিরাখো দূর মেঘপটে যত ক্রোধ, অকাম কামনাতুমি সুন্দর নিয়তিফিরে দাও দীর্ঘ ঝড় মদিরায় প্রাচীন কুঞ্জের. তুমি সুন্দর নিয়তি |আমি পাবো অনুপম, জনহীন, উর্বর মৃত্তিকা
No comments